দাম্পত্য অশান্তি থেকে বাঁচতে ও স্বামীর ওপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখতে জ্যোতিষীকে ৫৯ লাখ টাকা দিয়েছিলেন এক মহিলা। অবশেষে ওই জ্যোতিষীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে মুম্বাইয়ের পোয়াই পুলিশ। এমন ঘটনা ঘটেছে ভারতের অন্ধেরিতে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
গতকাল রোববার প্রকাশিত আনন্দবাজার এক পত্রিকার প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী- দুই সন্তান এবং স্ত্রীকে নিয়ে সংসার অন্ধেরির এক ব্যবসায়ীর। তবে ১৩ বছর ধরে তার স্ত্রীর এক ব্যক্তির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। ঘটনার কথা জানতে পেরে ওই ব্যবসায়ী স্ত্রীকে বিবাহবিচ্ছেদের হুমকি দেন। ভয় পেয়ে প্রেমিকের সঙ্গে সমস্ত যোগাযোগ ছিন্ন করে স্ত্রী। তবে দাম্পত্য অশান্তি লেগে থাকতো নিত্যদিনই।
নিত্যদিনের অশান্তি থেকে বাঁচতে ও স্বামীকে বশ করতে ওই জ্যোতিষীর স্মরণাপন্ন হন ওই মহিলা। সমস্যা সমাধানে জ্যোতিষিও দাবি করে বসলেন প্রচুর টাকা।
এদিকে, দীপাবলি উপলক্ষে নিজের প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের ‘বোনাস’ দেবেন বলে অক্টোবরের ১০ তারিখের দিকে বাড়িতে ৩৫ লক্ষ টাকা স্ত্রীকে জানিয়েই আলমারিতে রেখেছিলেন ওই ব্যবসায়ী।
এক সপ্তাহ পর আলমারিতে সেই টাকা না পেয়ে স্ত্রীকে ডেকে জানতে চান স্বামী। স্ত্রীর উত্তরে অসঙ্গতি দেখে, ওই ব্যবসায়ী তাঁর দাদাকে খবর দেন। দু’জনের ক্রমাগত জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ভেঙে পড়েন ওই মহিলা।
জানান, প্রতিদিনের দাম্পত্য অশান্তি থেকে মুক্তি পেতে এবং স্বামীকে বশ করতে বাদল শর্মা নামের এক জ্যোতিষীকে পুরো টাকা তিনি দিয়ে দিয়েছেন।
তিনি আরও জানান, নিজের প্রেমিকের সাহায্যে জ্যোতিষীর কাছে পৌঁছলে তিনি জানান, কালো জাদুর সাহায্যে তিনি সব সমস্যার সমাধান করে দেবেন। কিন্তু তার জন্য প্রচুর টাকা খরচ করতে হবে। স্বামীকে না জানিয়ে বাড়িতে রাখা নিজের যাবতীয় গয়না এবং টাকা জ্যোতিষীকে দিতে থাকেন তিনি। তবে লাভ পাননি বলে দাবি মহিলার।
পরে ওই ব্যবসায়ীর অভিযোগ পেয়ে, তল্লাশি চালিয়ে জ্যোতিষীর কাছ থেকে টাকা এবং সোনার গয়না মিলিয়ে ভারতীয় মুদ্রায় মোট ৫৯ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।